রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশালে নগরীতে এক ব্যাংক কর্মকর্তার ছেলে ১১ পাড়া কোরআন হাফেজের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। নিহতের স্বজনরা দাবী করছেন বাবার সাথে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে পুলিশের সন্দেহ ভিন্ন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকাধীন লুৎফর রহমান সড়কের ছয়তলা ভবনের (রেনবো )২য়তলায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোরের নাম জায়েদ খান (১১)। সে নগরীর ১৩নং ওয়ার্ডস্থ সিকদারপাড়া এলাকাধীন খান সড়কের বাসিন্দা এবি ব্যাংক কর্মকর্তা বাইজিদ খানের পুত্র এবং লুৎফর রহমান ক্যাডেট মাদ্রাসার হেফজোখানার ছাত্র। তিনি ১১ পাড়া কোরআন হাফেজ।
তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বরিশাল মহানগরীর এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, ‘জায়েদ নগরীর লুৎফর রহমান সড়কের মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। এজন্য তার বাবা-মা ওই এলাকায় একটি বাসা ভাড়া করে বসবাস করে আসছে।
তিনি বলেন, ‘জায়েদ মাদ্রাসায় লেখাপড়ায় অমনোজগী হয়ে পড়ে। এজন্য মাদ্রাসা শিক্ষক তার বাবার কাছে বিচার দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বাবা বাইজিদ সোমবার সকালে খাবার টেবিলে বসে জায়েদকে গালমন্দ করে।
এ ঘটনার পরে বাবা বাইজিদ খান ঘর থেকে বের হয়ে বাজারে যায়। সেই সুযোগে বায়েজিদ তার ছোট বোনের ঘরে ঢুকে জানালার গ্রিলের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে স্বজনরা দরজা খুলে জায়েদকে উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
ওসি বলেন, ‘নিহতের স্বজনরা পুলিশকে আত্মহত্যার এমন বরর্ণনা দিয়েছেন। তবে তাদের বক্তব্যের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়েছে। তাতে যতটুকু বোঝা যাচ্ছে এটি আত্মহত্যা নয়। কেননা যে জানালার গ্রিলের সাথে আত্মহত্যা করা হয়েছে বলে দাবী করা হয়েছে সেখানে গলায় ফাঁস দেয়া যায় না। তাই ময়না তদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া মৃত্যুর সঠিক কারন বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
Leave a Reply